আমাদের দেশের শিক্ষাব্যাবস্থা বর্তমানে যেই অবস্থায় আছে এই অবস্থায় চলতে থাকলে মানুষ তৈরী হবেনা। শিক্ষকদের কাছ থেকে শুধুই অন্যায় অবিচার শিখবে।
নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার গড়মাটি গ্রামের বাহাদুর প্রামাণিক (৮০) নামের এক বৃদ্ধ গড়মাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে কৌশলে ডেকে নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার ধর্ষণ করে। এলাকাবাসী জানান, ভুক্তভোগী শিশুটির মা তাকে ছোট রেখেই মারা গেছেন। বাবা ঢাকা শহরে থাকেন। ভুক্তভোগী শিশুটি ও তার ছোট বোনকে নিয়ে তার দাদি এই গ্রামে বসবাস করেন।
হতদরিদ্র এই শিশুটির অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে বৃদ্ধ বাহাদুর এ ঘটনা ঘটায়।গড়মাটি এলাকার লোকজন ভুক্তভোগী শিশুটির বরাত দিয়ে শুক্রবার বিকেলে জানান, বৃদ্ধ তার আত্মীয় ও একই ক্লাসের অন্য একটি মেয়েকে দিয়ে তাকে বাজারে ডেকে আনে। পরে একটি দোকান ঘরে নিয়ে গিয়ে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। কাউকে কিছু বললে প্রাণে মেরে ফেলা হবে বলে জানিয়ে দিয়ে তাকে দুইশত টাকা হাতে ধরিয়ে দেন।
কিন্তু মেয়েটি সঙ্গে সঙ্গে বাজারে এসে তার চাচাকে বলে দেন স্যার আমারে ‘দুই’শ টাকা দিয়ে কইলো ‘কাউরে কিছু কইলে প্রাণে মেরে ফেলবে!’ এবং তৎক্ষনাৎ এলাকাবাসী ঘটনাস্থল থেকে বৃদ্ধকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন। বাহাদুর এর আগেও বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটিয়েছে।প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ কিছু বলতে পারেন না। দুই স্ত্রীসহ তিনি এই গ্রামে বসবাস করেন।জানা গেছে, দরিদ্র শিশুটির অসহায়ত্বের সুযোগে গ্রাম্য সালিসে সমাধানের মাধ্যমে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে স্থানীয় একটি মহল।
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) দীলিপ কুমার দাস বলেন, এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে খোঁজা হচ্ছে ধর্ষক ও ভুক্তভোগী উভয়কেই। ভুক্তভোগীকে পেলেই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু হবে। ঘটনার পর আসামির পেছনে ছুটে পুলিশ। তবে এবার আসামির সঙ্গে বাদীর পেছনেও তাদের ছুটতে হচ্ছে। ঐ ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় এখন অভিযুক্তের সঙ্গে অভিযোগকারীকেও খুঁজছে পুলিশ।
পুলিশের ধারণা, ঘটনার পর অভিযোগ বা মামলা দায়ের না করে সমঝোতার পথ বেছে নিয়েছেন অভিযোগকারী।বড়াইগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) সৈকত হাসান বলেন, ‘ধর্ষণের ঘটনা আপোসের কোন সুযোগ নাই। মামলা বা অভিযোগ হতেই হবে। এটি স্বয়ং পুলিশ সুপারের নির্দেশ। অথচ বাদীকেই পাওয়া যাচ্ছে না। উল্টো তাকে খুঁজতেই পুলিশ পাঠানো হচ্ছে। এদিকে ধর্ষকও পলাতক। সাথে বাদীকেও খোঁজা হচ্ছে।’